হাওড়ার কদমতলা বাজারের পাশেই একটি দোকান - “কদমতলা কফি সেখানে দিনের বিভিন্ন সময়ে দল বেঁধে আড্ডা মারে পাড়ার ছেলেবুড়োর দল। সেই ঠেকেই নতুন আবির্ভাব হয়েছে পাঁচ বন্ধুর। সদ্য মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার পর তারা এসে প্রতিদিন আসর জমাতে শুরু করছে এখানে, আর এখানেই তারা আবিষ্কার করেছে রায়সাহেবকে। ভদ্রলোকের পুরো নাম কেউ জানে না। পাড়ার ছোট থেকে বড়ো, সবার কাছেই তিনি শুধুই রায়সাহেব। খদ্দরের পাঞ্জাবী আর পায়জামা পরা শীর্ণ চেহারার রায়সাহেব সপ্তাহে একদিন বা দুদিন এই চায়ের দোকানে আসেন, আর খুলে বসেন তাঁর গল্পের ঝুলি। কর্মসূত্রে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় তাঁর নিজের জীবনে যেসব অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল, সেগুলোই তিনি শোনান, আর মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে যায় পাঁচ বন্ধু । সন্ধের অন্ধকারে, ঘনঘোর বর্ষার পরিবেশে কিংবা শীতের হিমেল ঠান্ডায় জমে ওঠে তাঁর গল্প। আর সেই গল্প শুনতে শুনতে শ্রোতারা পৌঁছে যায় গভীর রাতে বেনারস কিংবা আমেদাবাদের রাস্তায়, যেখানে মুক্তি না পাওয়া আত্মারা আজও চলেফিরে বেড়ায়, অথবা পালামৌয়ের জঙ্গলে প্রাচীন দুর্গের ভেতর ঘুরতে ঘুরতে বহুকাল আগের এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে যায় হঠাৎ। পুরোনো কোনও মন্দিরে হাড় হিম করা কোনও দৃশ্য তাদের হয়তো স্থবির করে দেয়, কিংবা রানিগঞ্জের কোনও রাস্তায় পুত্রহারা কোনও বাবার বুকফাটা আর্তনাদ রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।
হাওড়ার কদমতলা বাজারের পাশেই একটি দোকান - “কদমতলা কফি সেখানে দিনের বিভিন্ন সময়ে দল বেঁধে আড্ডা মারে পাড়ার ছেলেবুড়োর দল। সেই ঠেকেই নতুন আবির্ভাব হয়েছে পাঁচ বন্ধুর। সদ্য মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবার পর তারা এসে প্রতিদিন আসর জমাতে শুরু করছে এখানে, আর এখানেই তারা আবিষ্কার করেছে রায়সাহেবকে। ভদ্রলোকের পুরো নাম কেউ জানে না। পাড়ার ছোট থেকে বড়ো, সবার কাছেই তিনি শুধুই রায়সাহেব। খদ্দরের পাঞ্জাবী আর পায়জামা পরা শীর্ণ চেহারার রায়সাহেব সপ্তাহে একদিন বা দুদিন এই চায়ের দোকানে আসেন, আর খুলে বসেন তাঁর গল্পের ঝুলি। কর্মসূত্রে সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ঘুরে বেড়ানোর সময় তাঁর নিজের জীবনে যেসব অলৌকিক ঘটনা ঘটেছিল, সেগুলোই তিনি শোনান, আর মন্ত্রমুগ্ধের মতো শুনে যায় পাঁচ বন্ধু । সন্ধের অন্ধকারে, ঘনঘোর বর্ষার পরিবেশে কিংবা শীতের হিমেল ঠান্ডায় জমে ওঠে তাঁর গল্প। আর সেই গল্প শুনতে শুনতে শ্রোতারা পৌঁছে যায় গভীর রাতে বেনারস কিংবা আমেদাবাদের রাস্তায়, যেখানে মুক্তি না পাওয়া আত্মারা আজও চলেফিরে বেড়ায়, অথবা পালামৌয়ের জঙ্গলে প্রাচীন দুর্গের ভেতর ঘুরতে ঘুরতে বহুকাল আগের এক ঘটনার সাক্ষী হয়ে যায় হঠাৎ। পুরোনো কোনও মন্দিরে হাড় হিম করা কোনও দৃশ্য তাদের হয়তো স্থবির করে দেয়, কিংবা রানিগঞ্জের কোনও রাস্তায় পুত্রহারা কোনও বাবার বুকফাটা আর্তনাদ রাতের ঘুম কেড়ে নেয়।