বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ছাত্রজীবনেই লেখার পৃথিবীতে আসেন তিনি। যখন তিনি পুতুলনাচের ইতিকথা, পদ্মা নদীর মাঝির মতো ধ্রুপদী সব উপন্যাস লিখছেন, রবীন্দ্রনাথ তখন সাহিত্যের আকাশের গনগনে সূর্য।
স্বীকৃতির আশায় সময়ের সকল গুরুত্বপূর্ণ লেখক বই পাঠাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথকে অথচ তিনি এমন বেয়াড়া এবং গোত্রছাড়া—রবীন্দ্রনাথকে পাঠাননি কোনো বই।
একটিমাত্র বই ছাড়া আর কোনো বই কাউকে উৎসর্গ পর্যন্ত করেননি। যেটা করেছেন, সেটাও কোনো ব্যক্তিকে নয়, জনগণের উদ্দেশ্যে।
দেখেছেন দু দুটো বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা। শুনেছেন পরাধীন ভারতবর্ষের আর্তনাদ। স্বজনদের কাছ থেকেও হয়েছেন বঞ্চনার শিকার। স্থাপন করেছেন পিতৃভক্তির বিরল দৃষ্টান্ত।
দু-একটা বিচ্ছিন্ন চাকরি ছাড়া জীবনভর লেখাই ছিল তার পেশা। লিখতে এসে অফিসারের পুত্র তিনি দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়েছেন। অসুখ-আসক্তি-অভাবের ত্রিমুখী আক্রমণে হয়েছেন বিপর্যস্ত। তবু তার কলম থামেনি এক মুহূর্তের জন্য।
সাহিত্যের পাঠক মাত্রই জানেন, কী ক্লান্ত, বিষণ্ন, বিপন্ন এবং বিপ্লবী জীবন যাপন করে গেছেন মানিক। লেখার জন্য পার্থিব প্রতিষ্ঠার সব হাতছানি নাকচ করেছেন, হয়েছেন নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর, মুখের ওপর বন্ধ হয়েছে স্বজনদের প্রীতির বাতায়ন। তবু ত্যাগ করেননি কলম। এমনই গোত্রছাড়া মানুষ তিনি ছিলেন।
তার জীবন ছিল এমন বেদনাবিধুর, লিখতে গিয়ে বারবার চোখ ভিজেছে লেখকের, অদেখা সেই মানুষটার জন্য বুকের মধ্যে তৈরি হয়েছে হাহাকার। আর তার এমন ইস্পাতকঠিন ব্যক্তিত্ব—সেইসব আখ্যানের বিবরণ দিতে গিয়ে শ্রদ্ধায় নত হয়েছে মাথা।
বাংলাভাষার প্রধান ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি জীবনকে যাপন করেননি, করেছেন ইতিহাস যাপন। কথাশিল্পী সাব্বির জাদিদের শক্তিশালী গদ্যে, এই মানুষটির ঝড়ো জীবনের রুদ্ধশ্বাস আখ্যান জানতে আপনাকে স্বাগতম গোত্রহীনের ইতিকথায়।
গোত্রহীনের ইতিকথা মানিকের জীবনী তো নয়ই, নয় ডকুফিকশনও। বরং মানিকের আস্ত জীবন হামানদিস্তায় ফেলে, ভেঙে গুড়ো গুড়ো করে, এক পিওর ফিকশনের রূপ দেয়ার চেষ্টা।
‘গোত্রহীনের ইতিকথা’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনভিত্তিক প্রথম উপন্যাস।
বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ছাত্রজীবনেই লেখার পৃথিবীতে আসেন তিনি। যখন তিনি পুতুলনাচের ইতিকথা, পদ্মা নদীর মাঝির মতো ধ্রুপদী সব উপন্যাস লিখছেন, রবীন্দ্রনাথ তখন সাহিত্যের আকাশের গনগনে সূর্য।
স্বীকৃতির আশায় সময়ের সকল গুরুত্বপূর্ণ লেখক বই পাঠাচ্ছেন রবীন্দ্রনাথকে অথচ তিনি এমন বেয়াড়া এবং গোত্রছাড়া—রবীন্দ্রনাথকে পাঠাননি কোনো বই।
একটিমাত্র বই ছাড়া আর কোনো বই কাউকে উৎসর্গ পর্যন্ত করেননি। যেটা করেছেন, সেটাও কোনো ব্যক্তিকে নয়, জনগণের উদ্দেশ্যে।
দেখেছেন দু দুটো বিশ্বযুদ্ধ, দুর্ভিক্ষ, দাঙ্গা। শুনেছেন পরাধীন ভারতবর্ষের আর্তনাদ। স্বজনদের কাছ থেকেও হয়েছেন বঞ্চনার শিকার। স্থাপন করেছেন পিতৃভক্তির বিরল দৃষ্টান্ত।
দু-একটা বিচ্ছিন্ন চাকরি ছাড়া জীবনভর লেখাই ছিল তার পেশা। লিখতে এসে অফিসারের পুত্র তিনি দরিদ্র থেকে দরিদ্রতর হয়েছেন। অসুখ-আসক্তি-অভাবের ত্রিমুখী আক্রমণে হয়েছেন বিপর্যস্ত। তবু তার কলম থামেনি এক মুহূর্তের জন্য।
সাহিত্যের পাঠক মাত্রই জানেন, কী ক্লান্ত, বিষণ্ন, বিপন্ন এবং বিপ্লবী জীবন যাপন করে গেছেন মানিক। লেখার জন্য পার্থিব প্রতিষ্ঠার সব হাতছানি নাকচ করেছেন, হয়েছেন নিঃস্ব থেকে নিঃস্বতর, মুখের ওপর বন্ধ হয়েছে স্বজনদের প্রীতির বাতায়ন। তবু ত্যাগ করেননি কলম। এমনই গোত্রছাড়া মানুষ তিনি ছিলেন।
তার জীবন ছিল এমন বেদনাবিধুর, লিখতে গিয়ে বারবার চোখ ভিজেছে লেখকের, অদেখা সেই মানুষটার জন্য বুকের মধ্যে তৈরি হয়েছে হাহাকার। আর তার এমন ইস্পাতকঠিন ব্যক্তিত্ব—সেইসব আখ্যানের বিবরণ দিতে গিয়ে শ্রদ্ধায় নত হয়েছে মাথা।
বাংলাভাষার প্রধান ঔপন্যাসিক মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় একটি জীবনকে যাপন করেননি, করেছেন ইতিহাস যাপন। কথাশিল্পী সাব্বির জাদিদের শক্তিশালী গদ্যে, এই মানুষটির ঝড়ো জীবনের রুদ্ধশ্বাস আখ্যান জানতে আপনাকে স্বাগতম গোত্রহীনের ইতিকথায়।
গোত্রহীনের ইতিকথা মানিকের জীবনী তো নয়ই, নয় ডকুফিকশনও। বরং মানিকের আস্ত জীবন হামানদিস্তায় ফেলে, ভেঙে গুড়ো গুড়ো করে, এক পিওর ফিকশনের রূপ দেয়ার চেষ্টা।
‘গোত্রহীনের ইতিকথা’ মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবনভিত্তিক প্রথম উপন্যাস।