উপন্যাসের শুরুটা একটি মৃত্যু দিয়ে। যে ব্যক্তি মারা যান তিনি এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। না, কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা তিনি নন। কিন্তু তার মধ্যে আছে মানবিক গুণাবলির সমাহার। মানুষের জন্য, গ্রামের জন্য, শিক্ষার জন্য তার দরদ সবাইকে মোহিত করে রাখে। সেই ব্যক্তির মৃত্যু দিয়ে উপন্যাসের শুরু। ঘটনাপরম্পরায় এ উপন্যাসে যুক্ত হয় তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের চালচলন কথাবার্তা এবং সেই মহান ব্যক্তির সমাপ্ত-অর্ধসমাপ্ত এবং অসমাপ্ত কার্যাবলি ঘিরে এগিয়ে চলে উপন্যাসের চাকা। উপন্যাসের ভাঁজে ভাঁজে কখনো যুক্ত হয় গ্রাম্য পলিটিক্স, কখনো যুক্ত হয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বিষয়, কখনো ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার কথা। দীর্ঘ সময় শহরে বাস করে হঠাৎ গ্রামে, নিজ ভিটায়, বাস করতে আসা এই ব্যক্তির আচার-আচরণে প্রথমে গ্রামের সবাই বিভ্রান্ত হলেও পরে বুঝতে পারে, আদতে তিনি চান গ্রামে নারীশিক্ষার প্রসার ঘটুক, গ্রামের মানুষের জীবিকার বিশেষ করে কৃষিনির্ভর মানুষগুলো ভালো থাকুক – এটাই তার কাম্য। তার মৃত্যুর পর তার সন্তানদের মাঝে গ্রামের মানুষ প্রথমে তারই প্রতিমূর্তি খুঁজে ফেরে। তবে তাদের সঙ্গে তাদের বাবার যে বিস্তর ফারাক তা বুঝতে বেশি সময় নেয় না তারা। অবশ্য এ পরিবারের সবাই তাদের কাছে সম্মানের পাত্র হিসেবেই বিবেচিত হয়। এই সম্মানিত পরিবারের ছোট ছেলে, যে বাবার মৃত্যুর বেশ পরে এ বাড়িতে আসে, তার চোখে হঠাৎ করেই কিছু অসংগতি যেন ধরা পড়ে। তিনি যে বাবাকে চিনতেন-জানতেন, গ্রামের লোকদের বর্ণনার সঙ্গে মাঝে মাঝেই তার কোনো মিল খুঁজে পান না। বিভ্রান্তি পেয়ে বসে তাকে। এর মধ্যে হঠাৎ সেই ব্যক্তির নামে রটে যায়, তার আরেকটি পরিবার রয়েছে, তবে তা অবৈধ, অর্থাৎ বৈবাহিক কোনো সম্পর্ক ছাড়াই সন্তানের পিতা তিনি। এ নিয়ে সৃষ্টি হয় ধূম্রজাল। চলতে থাকে কানাঘুষা।
উপন্যাসের শুরুটা একটি মৃত্যু দিয়ে। যে ব্যক্তি মারা যান তিনি এলাকায় বেশ জনপ্রিয়। না, কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা তিনি নন। কিন্তু তার মধ্যে আছে মানবিক গুণাবলির সমাহার। মানুষের জন্য, গ্রামের জন্য, শিক্ষার জন্য তার দরদ সবাইকে মোহিত করে রাখে। সেই ব্যক্তির মৃত্যু দিয়ে উপন্যাসের শুরু। ঘটনাপরম্পরায় এ উপন্যাসে যুক্ত হয় তার পরিবারের সদস্যরা। তাদের চালচলন কথাবার্তা এবং সেই মহান ব্যক্তির সমাপ্ত-অর্ধসমাপ্ত এবং অসমাপ্ত কার্যাবলি ঘিরে এগিয়ে চলে উপন্যাসের চাকা। উপন্যাসের ভাঁজে ভাঁজে কখনো যুক্ত হয় গ্রাম্য পলিটিক্স, কখনো যুক্ত হয় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের বিষয়, কখনো ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়ার কথা। দীর্ঘ সময় শহরে বাস করে হঠাৎ গ্রামে, নিজ ভিটায়, বাস করতে আসা এই ব্যক্তির আচার-আচরণে প্রথমে গ্রামের সবাই বিভ্রান্ত হলেও পরে বুঝতে পারে, আদতে তিনি চান গ্রামে নারীশিক্ষার প্রসার ঘটুক, গ্রামের মানুষের জীবিকার বিশেষ করে কৃষিনির্ভর মানুষগুলো ভালো থাকুক – এটাই তার কাম্য। তার মৃত্যুর পর তার সন্তানদের মাঝে গ্রামের মানুষ প্রথমে তারই প্রতিমূর্তি খুঁজে ফেরে। তবে তাদের সঙ্গে তাদের বাবার যে বিস্তর ফারাক তা বুঝতে বেশি সময় নেয় না তারা। অবশ্য এ পরিবারের সবাই তাদের কাছে সম্মানের পাত্র হিসেবেই বিবেচিত হয়। এই সম্মানিত পরিবারের ছোট ছেলে, যে বাবার মৃত্যুর বেশ পরে এ বাড়িতে আসে, তার চোখে হঠাৎ করেই কিছু অসংগতি যেন ধরা পড়ে। তিনি যে বাবাকে চিনতেন-জানতেন, গ্রামের লোকদের বর্ণনার সঙ্গে মাঝে মাঝেই তার কোনো মিল খুঁজে পান না। বিভ্রান্তি পেয়ে বসে তাকে। এর মধ্যে হঠাৎ সেই ব্যক্তির নামে রটে যায়, তার আরেকটি পরিবার রয়েছে, তবে তা অবৈধ, অর্থাৎ বৈবাহিক কোনো সম্পর্ক ছাড়াই সন্তানের পিতা তিনি। এ নিয়ে সৃষ্টি হয় ধূম্রজাল। চলতে থাকে কানাঘুষা।