ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথাঃ ভূপর্যটক মার্কোপলো শ্রীলংকা গিয়েছিলেন। তার বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনীতে শ্রীলংকা প্রসঙ্গে তিনি বেলেছেন, “এই দেশে কিছু বানর আছে, যাদের মুখে মানুষের দাড়ির মতো দাড়ি। এইসব বানরের একজন রাজা থাকে। রাজা মাথায় পাতার মুকুট পরে। রাজাকে ঘিরে থাকে সভাসদরা। অন্য বানররা ফল-মূল নিয়ে রাজাকে ভেট দিতে আসে। ভেট দেওয়ার পর তারা রাজাকে কুর্নিশ করে এবং বিনীত ভঙ্গিতে বসে থাকে। বানর রাজা তাদেরকে নানা উপদেশ দেন।” মার্কোপলোর বানরদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, তবে......
ভূমিকাঃ এই বইটিকে ভ্রমণকাহিনী বলা যাবে না। ভ্রমণকাহিনী আমি আসলে লিখতে পারি না। বিদেশে ট্রাভেলগ নামে কিছু বই আছে। ভ্রমণের সঙ্গে গল্প মেশানো। এই বইটকে ট্রাভেলগও বলা যাবে না। ভিন দেশে আমাদের আনন্দ-বেদনার কাব্য বলা যেতে পারে। চেষ্ট করেছি তথ্য দিয়ে বইটকে ভারী না করতে, বাধ্য হয়ে কিছু তথ্য দিতে হয়েছে। তথ্যে ভুল থাকার কথা না, তারপরেও কোনো ভুল কারও চোখে পড়লে আমাকে জানাবেন। পরের সংস্কারণে ঠিক করে দেওয়া হবে। শ্রীলংকা দেখার আমার শখ ছিল। কারণটা বিচিত্র। মহান বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর লেখক আর্থার সি ক্লার্ক নিজ দেশ ফেলে সারা জীবন এই দেশে কাটিয়েছেন। একজন লেখকের কাছে নিজ দেশের চেয়ে অন্যদেশ কেন মনে ধরল তা জানার ইচ্ছা ছিল। হুমায়ূন আহমেদ
ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথাঃ ভূপর্যটক মার্কোপলো শ্রীলংকা গিয়েছিলেন। তার বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনীতে শ্রীলংকা প্রসঙ্গে তিনি বেলেছেন, “এই দেশে কিছু বানর আছে, যাদের মুখে মানুষের দাড়ির মতো দাড়ি। এইসব বানরের একজন রাজা থাকে। রাজা মাথায় পাতার মুকুট পরে। রাজাকে ঘিরে থাকে সভাসদরা। অন্য বানররা ফল-মূল নিয়ে রাজাকে ভেট দিতে আসে। ভেট দেওয়ার পর তারা রাজাকে কুর্নিশ করে এবং বিনীত ভঙ্গিতে বসে থাকে। বানর রাজা তাদেরকে নানা উপদেশ দেন।” মার্কোপলোর বানরদের সঙ্গে আমার দেখা হয়েছে, তবে......
ভূমিকাঃ এই বইটিকে ভ্রমণকাহিনী বলা যাবে না। ভ্রমণকাহিনী আমি আসলে লিখতে পারি না। বিদেশে ট্রাভেলগ নামে কিছু বই আছে। ভ্রমণের সঙ্গে গল্প মেশানো। এই বইটকে ট্রাভেলগও বলা যাবে না। ভিন দেশে আমাদের আনন্দ-বেদনার কাব্য বলা যেতে পারে। চেষ্ট করেছি তথ্য দিয়ে বইটকে ভারী না করতে, বাধ্য হয়ে কিছু তথ্য দিতে হয়েছে। তথ্যে ভুল থাকার কথা না, তারপরেও কোনো ভুল কারও চোখে পড়লে আমাকে জানাবেন। পরের সংস্কারণে ঠিক করে দেওয়া হবে। শ্রীলংকা দেখার আমার শখ ছিল। কারণটা বিচিত্র। মহান বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীর লেখক আর্থার সি ক্লার্ক নিজ দেশ ফেলে সারা জীবন এই দেশে কাটিয়েছেন। একজন লেখকের কাছে নিজ দেশের চেয়ে অন্যদেশ কেন মনে ধরল তা জানার ইচ্ছা ছিল। হুমায়ূন আহমেদ